রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ ভোলা পৌর নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোলা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ভোলা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আলিয়া মাদরাসা এলাকার ব্রাক অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে আমরা সেখানে টহল পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভোলা পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শওকত হোসেনের ডালিম প্রতীক ও আসাদ হোসেন জুম্মানের উট পাখি প্রতীকের প্রচারণার সময় সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই পক্ষের ১০-১৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে শওকত হোসেনের সমর্থক মো. আবিদ (২৮), মাইনুল (৩০), সোহাগ (২৫), মাসুম (২৪), সাবিদ (১৮), সূচনা (২০), মনির (৩০) এবং আসাদ হোসেন জুম্মানের মো. মহসিন (৩০), বজলু হাওলাদার (৫০), উজ্জল (৩৫), দিপু (৪০), মানছুর (৩৫) এর নাম প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন জানান, সকাল থেকে আমার সমর্থকরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার জন্য ভোট চাইছিলেন। এ সময় আমার বিপক্ষ প্রার্থী আসাদ হোসেন জুম্মানের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উস্কানিমূলক কথা বলে। পরে আমার বাড়ি-ঘরে হামলা চালায় তারা। এতে আমার ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। তার সবাই ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপরদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ হোসেন জুম্মান জানান, আমার বিপক্ষ প্রার্থী শওকত হোসেনর নেতৃত্বে আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়। এ সময় আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালায় তারা। এতে আমার ২০-৩০ জন সমর্থক আহত হয়। এদের মধ্যে অনেকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
Leave a Reply